যশোরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত খেজুরের গুড়। যার স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। এ গুড় প্রাচীন কাল হতে আজ অবর্ধি দেশে বিদেশে সমানভাবে সমাদৃত। বর্তমানে যশোরে উৎপাদিত গুড়ের পরিমান প্রায় ৩৭,০০,২০০ কেজি। শীত এলেই পড়ে যায় খেজুর গুড় ও রস দিয়ে পিঠা তৈরীর ধুম। এসময় ঘরে তৈরী হয় কাঁচি পোড়া(চিতুই), কুলি, ভাপা, পাকান,ছিটে রুটি, পাটিসাপটা ও সেমাই পিঠা। ভোজন বিলাসী মানুষ একবার এ পিঠা ও গুড়ের স্বাদ গ্রহন করলে বারবার এর স্বাদ গ্রহনের জন্য আকুল হয়ে উঠবেন।
ঋতু বৈচিত্রের বাংলাদেশে শীত যেন অসে খেজুরের রস আর শীতের পিঠার বার্তা নিয়ে। আর এই শীতকে উপভোগ করতে যশোরের খেজুরের রস ও গুড়ের বিকল্প নেই। খেজুরের রস ভান্ডার যশোরে রয়েছে ৪৬২৫২৫ টি খেজুর গাছ। যার প্রতিটিতে গাছি শীতের শুরুতেই ভাড় ঝুলিয়ে দেয়। শীত কালীন এ চিত্র যেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করে। ৪৮৬.২০ হেক্টর জমির খেজুর গাছে আনুমানিক ২৩১২৬২৫০ কেজি রস আহোরিত হয় যা থেকে উৎপাদিত গুড়ের পরিমান ৩৭,০০,২০০ কেজি। যশোররের রসের স্বাদ যেমন সুমিষ্টি তেমনি এর তৈরী গুড় ও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। তাই যশোর যেন খেজুরের রস ভান্ডার হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত।
Leave a Reply