যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরি হল যশোর শহরের একটি পাবলিক লাইব্রেরি, যা ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম গ্রন্থাগারগুলির একটি।
ইতিহাস
যশোর পাবলিক লাইব্রেরি ১৮৫৪ সালে জেলা কর আদায়কারী আরসি রেক্স দ্বারা যশোর শহরের কেন্দ্রীয় অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়। আরসি রেক্স নড়াইল ও নলডাঙ্গার নীলকর ও স্থানীয় জমিদারদের মতো স্থানীয় অভিজাতদের কাছ থেকে তহবিল পেতেন। গ্রন্থাগারটি যশোরের সামাজিক ও সাহিত্য সমাবেশের কেন্দ্রে পরিণত হয়। লাইব্রেরিতে একটি বিলিয়ার্ড রুম ছিল। লাইব্রেরির চারপাশে যশোর শহর গড়ে উঠেছে, যশোর টাউন হল ১৯০৪ সালে এবং আর্য থিয়েটার ১৯১৯ সালে নির্মিত হয়েছিল। রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার ১৯২৭ সালে আর্য থিয়েটার এবং টাউন ক্লাবের সাথে পাবলিক লাইব্রেরীকে একত্রিত করে যশোরের একটি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ও কমিউনিটি সেন্টার গঠন করেন। এর ফলে যশোর ইনস্টিটিউট তৈরি হয়; যা সরকার কর্তৃক যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরি নামকরণ করা হয়।
১৯২৮ সালে, লাইব্রেরিটি একটি নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয় যাতে অবিনাশচন্দ্র সরকার অর্থায়ন করেছিলেন। অবিনাশচন্দ্র সরকারের পিতার নামে লাইব্রেরি হলটির নাম বিশ্বনাথ হল রাখা হয়েছিল। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে লাইব্রেরি প্রাঙ্গণটি রয়্যাল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স দ্বারা দখল করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গ্রন্থাগারটি আবার লাইব্রেরি হিসেবে কাজ শুরু করে। একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার এবং ভারত ভাগের পর গ্রন্থাগারটির সংস্কারের প্রয়োজন হয়। ১৯৫৩ সালে পূর্ব পাকিস্তানের যুক্তফ্রন্ট সরকার তহবিল সরবরাহ করেছিল। ১৯৭৮ সালে খুলনা বিভাগীয় উন্নয়ন বোর্ড লাইব্রেরির জন্য একটি নতুন বুক ব্যাংক হল নির্মাণ করে। লাইব্রেরিতে ৬৭,১৯৭টি বই রয়েছে। লাইব্রেরিতে বাংলা ভাষায় ৪৯৩০৬টি এবং ইংরেজি ভাষায় ১৭৩৯১টি বই ছিল। বাকি বইগুলো আরবি, ফার্সি ভাষা এবং উর্দুতে । লাইব্রেরিতে হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের লেখক শ্রীকৃষ্ণ দায়পায়ন সহ তাল পাতায় লেখা প্রাচীন পাণ্ডুলিপি রয়েছে।
Leave a Reply